ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশনের প্রধান জন ল্যামবার্ট বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পন্থাকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।
তিনি বলেন ,সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সরকার, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে একসঙ্গে অবস্থান নিতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পন্থাকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড গুলোর বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়ে এসবকথা বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাকাগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সর্বশেষ সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা দুই কর্মীকে হত্যারও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জন ল্যামবার্ট ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশনের প্রধান। এ ডেলিগেশনের অধীনে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশ যথা: বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান রয়েছে।
এই ছয়টি দেশের সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দু’পক্ষের আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে এই ডেলিগেশন।
বিবৃতিতে ল্যামবার্ট বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে উগ্রপন্থীরা বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের সমর্থনকারী ও লেখক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের হত্যা করেছে। শুধু এ মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ুয়া একজন ছাত্র ও ইংরেজি বিষয়ের এক অধ্যাপককে হত্যা করা হয়। আমরা নিহতের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানাতে ছাত্র-ছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজকে একসঙ্গে বাংলাদেশের এই চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পন্থাকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। এজন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট রেজুলেশন-২০১৫ এ বাংলাদেশের বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে যা বলা হয়েছে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।