ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৩ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশে নৃশংসভাবে একের পর এক হত্যা করা হয়েছে ৩৫ জন ধর্মনিরপেক্ষ লেখক, ব্লগার, প্রফেসর ও বিদেশিকে। এসব হত্যার মধ্যে ২৩টির দায় আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট স্বীকার করলেও, ইসলামপন্থী আন্তদেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার। এর পরিবর্তে তারা দায়ী করেছে বিরোধী দলগুলোকে।
নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০১৩ সাল থেকে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করে আসছে।
খালেদা জিয়ার বিএনপি ও তার মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ইসলামী দলগুলোকে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ রক্ষণশীল হেফাজতে ইসলামকে পুনরজ্জীবিত করেছে।
বিরোধী দলের বর্জন করা ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর নৈতিক বৈধতা হারিয়ে- বলপ্রয়োগ ও ইসলামপন্থীদের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে সরকারের। এমনকি হত্যাকান্ড নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের ধরনও পাল্টেছে।
তারা নিন্দা জানানোও বন্ধ করে দিয়েছে। এসব হত্যাকান্ড নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রেও সংযমী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে রাজনীতিতে ও সরকারি ক্ষেত্রে ধর্মের ভূমিকা একটি অভিন্ন ইস্যু।
সহিংস উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর পুনঃআবির্ভাব এবং অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী গ্রপগুলোর সদস্য নিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করন ক্রমেই সঙ্কুচিত হতে থাকা গণতন্ত্র চর্চার পরিবেশ ও ইসলামী গ্র“পগুলোর প্রতি আনুকূল্যের বিষয়গুলোকে।
বাংলাদেশে আল কায়েদা ও আইসিস যে সক্রিয় এবং তারা এখানে তাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান বৃদ্ধি করেছে সে বিষয়ে ক্রমশ তথ্যপ্রমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ই”ছাকৃত চোখ বন্ধ করে রাখা তাদের জন্য যেমন বিপদের তেমনি তা ভারতের জন্যও বিপদের।
যে কোনো ধরনের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করার বিপদ সম্পর্কে নিজেদের অতীত থেকে যা শিক্ষণীয় রয়েছে ভারত তা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে জোরদার করতে সক্ষম হবে। উদার গণতন্ত্রের আদর্শের বির“দ্ধে যে শক্তি ক্ষতিকর তাদের সঙ্গে সব রকম সমঝোতাই গণতন্ত্রের জন্য বিরাট বিপদ।
সূত্রঃ ইটি