ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ পুলিশ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক।
পুলিশের চলমান সাঁড়াশি অভিযানে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে বিরোধী দলের অভিযোগের মধ্যে তার এ মন্তব্য এলো।
পুলিশ বাহিনীর সমালোচনা করে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্ব হল জনগণেরর সেবক হিসেবে কাজ করা কিন্তু তারা সেটি না করে সরকারের অনুগত হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
শাহদীন মালিক বলেন, ‘পুলিশের বেআইনি কাজের জন্য আমি আদালতকে দোষারোপ করবো। আদালতও পুলিশের আইন অমান্যের পক্ষে ভূমিকা রাখছে।’ ‘পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ড চাইলে গত ১ বছরে পুলিশের এই রিমান্ড নামঞ্জুর করেননি আদালত।এতে করে আদালতের উপর জনগণের আস্থা কমছে, বাড়ছে না।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা দিন দিন বাড়ছেই। এভাবে দেশ চলতে থাকলে চলমান সহিংসতা আরো বাড়বে। তিনি বলেন, দেশে গুম, খুন, অপহরণ, ক্রসফায়ার, পুলিশের বল প্রয়োগ সব দিক থেকে বেড়েছে। গত সাত দিনে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে তথাকথিত বন্দুযুদ্ধে ১০ জন নিহত হয়েছে, যা গত ৩০ বছরে হয়নি।
দেশে চলমান সহিংতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শাহদীন মালিক বলেন, গত কয়েক দিনে যেভাবে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং সেগুলো বিবিসি, সিএনএন,আলজাজিরার মত সংবাদ মাধ্যমে যেভাবে প্রচার হয়েছে তাতে আর্ন্তজাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে।
তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়ে একটি দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব নয়।এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ লিবিয়া। দেশের চলমান সহিংসতা বন্ধের জন্য দল মত নির্বিশেষে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।
মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘কল্পনা চাকমা অপহরণ ও পরবর্তী ২০ বছর’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন প্রমুখ।