DMCA.com Protection Status
title="৭

মিতু হত্যা তদন্তে ব্যপক ধুম্রজালঃআটকের ১৫ঘন্টা পর এসপি বাবুল মুক্ত

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 75

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে প্রায় ১৫ ঘন্টা  পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার বেলা ৪টা ১৯ মিনিটে বাবুল আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি। যেহেতু মামলার বাদি আমি, তাই এই মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা হয়েছে।’

তবে তিনি একথা বললেও,গভীর রাতে আচমকা এসপি বাবুল আক্তারকে যেভাবে উঠিয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ, তাতে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের উদয় হয়েছে।এই মামলা সংক্রান্ত কোনো আলোচনার জন্য বাদীকে দিনের বেলায় ডেকে নিয়ে কিংবা তার বাসায় গিয়েও কথা বলতে পারতো পুলিশ।

তা না করে গভীর রাতে তাকে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়াটা প্রাকান্তরে গ্রেফতারের সামিল বলে মনে করছেন অনেকে।এধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এতো কানাঘুষাই বা কেনো হচ্ছে,তাও জানতে চেয়েছেন অনেকে।তবে কি স্ত্রী হত্যাকান্ডে স্বয়ং বাবুল আক্তার জড়িত?

এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের শনাক্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকজন আসামির সামনে মুখোমুখি করে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এসপি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, বা তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও তা বলার সময় হয়নি। শিগগিরই জানতে পারবেন।’

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তার শ্বশুর বাড়ি খিলগাঁও মেরাদিয়া ১২০ নম্বর বাসা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাবুল আক্তারের শ্বশুরও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)।

তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও সবগুলো সংস্থা মিলে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার তেমন কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!