ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দলমত নির্বিশেষে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ নামক দানবকে পরাজিত করতে আবারও জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে সেই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি বিএনপিকে ছাড়াই জাতীয় ঐক্য তৈরি করে সেক্ষেত্রে বিএনপি দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বির“দ্ধে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
গুলশান হলি আর্টিজান বেকারী রেস্তোরায় উগ্রবাদীদের কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে বিএনপি’র ঘোষিত কর্মসূচি শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ শোক সভা করা হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নগর বিএনপির আহবায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সংঘটিত প্রতি ঘটনার প্রকৃত তথ্য উৎঘাটন না করে বিএনপিসহ বিরোধীদলকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে কোনো খেয়াল নেই, তাদের খেয়াল শুধু বিএনপিকে কিভাবে ধ্বংস করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। কিন্তু বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে। দেশের প্রায় ৭০/৮০ ভাগ লোক বিএনপির সমর্থন। কাজেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য এবং চলমান সংকট সমাধান সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি শ্বিাস করে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ নামক দানবকে পরাজিত করতে হাতিয়ার জনগণ, হাতিয়ার গণতন্ত্র।ফলে গণতন্ত্রকে চলতে দিতে হবে। আর এরজন্য রাজনৈতিকভাবে সমন্তিত প্রচেষ্টায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প কিছু নেই। শোকসভায় মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের সকল নেতাকর্মীদের বির“দ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
শোকসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবু উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ।
এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, ফরিদা ইয়াসমিন, রফিকুল ইসলাম মজনু, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, ইয়াসিন আলী, মনিরুল ইসলাম মনির প্রমুখ বক্তব্য দেন।