ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তুরস্কে আবার সেনা অভ্যুত্থানের আশংখা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটিতে গত শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থান (ক্যু) চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। প্রেসিডেন্টের আহবানে গণ প্রতিরোধের মুখে পরে বিদ্রোহী সেনারা আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়। এই ঘটনায় সরকারি বাহিনী ৬০০০ এর বেশি বিদ্রোহী আটক করেছে। অবকাশ থেকে ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তবে অদূর ভবিষ্যতে আবার এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে এমন আশঙ্কার কারণ, নিখোঁজ রয়েছে ৪২টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার।
সিএনএন এর খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবারের ওই ঘটনার পর থেকে সেনা বাহিনীর ৪২টি অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টারগুলো নিখোঁজ রয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, বিদ্রোহী সেনাদের এক অংশই ওই হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়েছে।
সিএনএন এর তুরস্ক প্রতিনিধি সর্দার তানছার জানান, বিদ্রোহীরা আবার হামলার পরিবল্পনা করে থাকতে পারে। তারা এরদোয়ানকে ক্ষমতা থেকে সড়াতে চায়। খুব শিগগিরই তারা আবার চেষ্টা করবেই। আর এই কারণেই তারা ৪২টি হেলিকপ্টার সরিয়েছে।
তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত না কখন তারা আবার দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের চেষ্টা করবে। তবে তারা এটা করবেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও তুরস্কে দ্বিতীয় দফায় সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করেছে। আর এ কারণেই সেখানে থাকা তাদের সকল নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সেনা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশটির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থা, ইউরোপের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক, আইএস ইস্যুতে এরদোয়ানের অবস্থান ইত্যাদি কারণে সেখানে সেনা বাহিনী আবার অভ্যুত্থানের চেষ্টা করতে পারে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয় তুরস্ক সেনাবাহিনীর একাংশ।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এখন থেকে পিস কাউন্সিল দেশ পরিচালনা করবে। দেশে কারফিউ এবং মার্শাল ল জারি করা হয়েছে। এরপর ট্যাঙ্ক নিয়ে রাজধানী আঙ্কারা এবং ইস্তান্বুলসহ বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় নামে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে সেনাবাহিনীর বৃহৎ অংশ ও জনসাধারনের প্রতিরোধের মুখে ভেস্তে যায় অভ্যুত্থান চেষ্টা।
ওই ঘটনায় দেশটিতে প্রায় ৩০০ কাছাকাছি মানুষ মারা যায়। পুলিশ আটক করে ৬০০০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য ও বিরোধী দলের লোকজনদের।এই ঘটনার পর তুরস্কের পুরো রাষ্ট্র প্রশাসনে ব্যপক শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে এরদোগান সরকার।