ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেখে মনে হলো ঠিক যেন বিয়ে বাড়ি কিংবা কমিউনিটি সেন্টার। মরিচ বাতিতে ফটক সাজানো। ভেতরের রাস্তাও একইভাবে জ্বলজ্বল করছে। ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেত্রীর গায়ে হলুদ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় এভাবেই সেজেছিল রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ক্যাম্পাস।
নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ধুমধাম করে কলেজ মিলনায়তনে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুমা আক্তার পলি। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও।
কলেজের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ২৪ জুলাই মাসুমা আক্তারের বিয়ে। এ উপলক্ষে তিনি কলেজের ছাত্রীদের জন্য গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। অনুষ্ঠানে তার হবু বরও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই পরিবারের অনেক অতিথি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ছাত্রীরা বলছেন, কলেজ হোস্টেলে থাকার নিয়ম অনুযায়ী, কেউ বিয়ে করলে তার সিট কেটে দেয়া হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের অনেকে প্রভাব খাটিয়ে বিবাহিত হয়েও হোস্টেলে থাকেন। আর এবার তো কলেজের মিলনায়তনে বিয়ের আয়োজনই করা হল। পলি ছাত্রলীগনেত্রী বলেই এভাবে একটা মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে বিয়ে করতে পারছেন।
তারা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করার নিয়ম না থাকলেও গায়ে হলুদ উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কলেজে এসেছেন। এর মধ্যে দুই পরিবারের সদস্যদের বাইরে ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীও অংশ নেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলেজ মিলনায়তনও সাজানো হয় মনোরম সাজে। সেখানে করা স্টেইজের পেছনে লেখা ছিল ‘সাইফ ও পলির হলুদ সন্ধ্যা।’
এ সম্পর্কে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, ‘তিনি তো আগে কলেজের ছাত্রী। তারপর ছাত্রলীগের নেত্রী। কলেজ প্রশাসন যদি এক্ষেত্রে অনুমতি দেয় তবে একজন ছাত্রী এ ধরনের অনুষ্ঠান করতেই পারেন।’
সন্ধ্যা থেকে একাধিকবার কলেজের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহারের মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।