ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক দাবি করেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে তার দেহ নেই। তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি। ডিএনএ টেস্ট করান। যদি সেখানে জিয়ার দেহ থাকে, তাহলে নাকে খত দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। এ বিষয়ে স্পিকারকে আগেও চিঠি দিয়েছি। আবারও লিখেছি। লুই আই কানের নকশা ভঙ্গ করে সেখানে জিয়ার কবর বসানো হয়েছে।তাই একবর অবিলম্বে সরানো দরকার।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘৭১-এর গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকাণ্ড ও বিচার বিঘ্নিতকরণের চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আদালত থেকে কী রায় আসবে না আসবে সেটার জন্য আজীবন আমরা বসে থাকব নাকি?
জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালত নিয়ে কথা বলতে গেলেই অনেক কথা। প্রতিদিন শত শত লোক ফোন করে জিজ্ঞাসা করে আমার মন্ত্রীত্ব থাকছে কিনা? না থাকলে না থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমি কারো কাছে বন্ধক রাখিনি। আমি যে সংবিধান লঙ্ঘন করেছি সেটা পাকিস্তানের সংবিধান। বঙ্গবন্ধুর রচিত সংবিধান আমি লালন করি।’
আকম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের নামে শহীদ জিয়া শিশুপার্কটি থাকবে না। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র হবে। প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা কোনো সময়ই আমাদের মতাদর্শের হবে না। তাই তাদের থেকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা কীভাবে শহীদ পরিবার এবং সাধারণ জনগণের উপকারে লাগানো যায়, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে।
যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা তাদের পূর্বসূরীদের ষড়যন্ত্র এগিয়ে নিয়ে যাবে। নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করবে। তাই তাদের বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- শহিদ জায়া পান্না কায়সার, শহিদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মফিদুল হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন প্রমুখ।