ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারত যদি এই মুহুর্তে পাকিস্তান আক্রমণ করে তাহলে তৎক্ষনাৎ ভারতের কোন কোন গুরুত্বপূর্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে তার পাল্টা জবাব দেবে পাকিস্তান, তা নির্ধারণ করেছে দেশটি।
কাশ্মীরের উরিতে ১৮ সেনা নিহতের ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে ভারত যে কোনো সময় পাকিস্তানে আক্রমণ চালাতে পারে বলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
এরমধ্যেই শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ভারতে পাল্টা হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের খবর দিয়েছে পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ইন্টারন্যাশনাল নিউজ।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সূত্রের বরাতে দৈনিকটি জানায়, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল আক্রমণ করলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের কোথায় হামলা করা হবে, তার একটি অপরাশেনাল পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা সূত্র বলছে, ভারতের যে কোনো সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য পাকিস্তান পুরোপুরি প্রস্তুত। ভারতের কোথায় প্রত্যাঘাত করা হবে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং অপারেশনাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাহিনীগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একটি প্রতিরক্ষা সূত্রের ভাষ্য, ভারতের কোনো ধরনের আগ্রাসন পাকিস্তান মেনে নেবে না। দেশটির সামরিক সামর্থ এবং সীমান্তে যে কোনো হুমকি মোকাবেলার জন্য সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি।
এদিকে পাকিস্তান আশংকা করছে, কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারত সরাসরি আক্রমণ না করে স্নায়ুযুদ্ধের ডকট্রিন অনুযায়ী প্রক্সি হামলা চালাতে পারে। এক্ষেত্রে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে মর্মে প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানিয়েছে একটি প্রতিরক্ষা সূত্র।
পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ভারতের হামলার আশংকার মধ্যেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে সামরিক মহড়া দিচ্ছে দেশটির বিমান বাহিনী।
এজন্য উত্তরাঞ্চলে বেসামরিক বিমান চলাচল স্থগিত রেখে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলা করা হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে বিমান ওঠানামা করার জন্য এম-১ এবং এম-২ মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানান, রাজধানী ইসলামাবাদে ওই রাতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উড়েছে।
তিনি জানান, যে কোনো হামলা ঠেকাতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী যে প্রস্তুত রয়েছে, দেশবাসীকে তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতেই ইসলামাবাদের আকাশে বিমান উড়ানো হয়।