ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারলেও অচল হয়ে আছে ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের দেহের বাম অংশ। শরীরের এই অংশ আর কখনো সচল হবে কিনা না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ডাক্তাররা।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন তথ্যই জানান যমুনা টেলিভিশনকে।
টেলিভিশনটির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ডাক্তাররা জানিয়েছেন দুপুর ১২টার দিকে খাদিজার ভেন্টিলেশন পরীক্ষামূলকভাবে খুলে নেয়া হয়েছে। এটা চিকিৎসার একটা প্রক্রিয়া। তাকে দীর্ঘমেয়াদে ভেন্টিলেশন ছাড়া রাখা যাবে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এভাবে বার বার খুলে আবার ভেন্টিলেশন দিয়ে তাকে স্বাভাবিক শ্বাস নেয়ার উপযোগী করা হবে।’
কর্মরত ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ভেন্টিলেশন খুলে নেয়ার পরেও তিনি মোটামুটি স্বাভাবিক আছেন। চোখ খুলছেন, মাঝে মধ্যে হাত পা নড়াচড়াও করতে পারছেন। তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে কাজ করছে না তার দেহের বাম অংশ। বা হাত এবং বাম পা এখনো অনুভূতি পাচ্ছেন না।
কবে নাগাদ ফিরবে বা আদৌও ফিরবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ডাক্তাররা।
গত ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে গোটা দেশ।