ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টন হারতে না হারতেই দাবি উঠেছে ২০২০ সালের পরবর্তী নির্বাচনে বর্তমান ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাকে প্রার্থী করার।
গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতার সঙ্গে সঙ্গেই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শুরু করেন সমর্থকেরা এবং তার মধ্যেই উঠে আসে মিশেলকে চার বছর পরের নির্বাচনে প্রার্থী করার।বিশেষ গত আটবছরের ওবামার শাসনামলে পরিমিতি বোধ,রুচিশীল এবং বুদ্ধীমতি হিসাবে সবার নজর কেড়েছেন মিশেল।
যদিও ওবামার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার শুনে বোঝা গেছে যে, মিশেল ঠিক রাজনীতিতে আগ্রহী নন, কিন্তু ভক্তরা আশা ছাড়ছেন না। বিশেষ করে, এবছরের নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের নারীদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে ফাঁস হয়ে যাওয়া টেপ নিয়ে যখন মার্কিন রাজনীতি তোলপাড়, তখন মিশেলের আবেগপূর্ণ ভাষণ শুনে অনেকেই আপ্লুত হয়েছিলেন।
এ বছরের ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে তার ‘হোয়েন দে গো ডাউন, উই গো আপ’ উক্তিটিও যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, অরাজনৈতিক হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাকে প্রয়োজন। আর এবার হিলারির পরাজয়ের পরে সেই ভাবনাই যেন আরো বড় রূপ পেল।
বিবিসি অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হয়েও শেষ হয়নি। পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে এখনই কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে।
এই মুহূর্তে অবশ্য ৫২ বছর বয়সী মিশেল ওবামার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কেউই কিছু জানেন না। স্বামী বারাকের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি মিশেলের সুনাম রয়েছে সক্রিয় সামাজিক কর্মী হিসেবে। মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে তার ‘লেটস গার্লস লার্ন’ উদ্যোগের কথা সুবিদিত।
আট বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সে-দেশের ফার্স্ট লেডি হিসেবে নিজের সুচিন্তিত মতামত পেশ করে মিশেল বুঝিয়েছেন যে, তিনি নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রাখেন।
ট্রাম্পের নাম একবারও উচ্চারণ না করে মিশেল যেভাবে এবারের প্রচারে তার সমালোচনা করেছেন তাতেই সাধারণ মানুষ তার ওপরে ভরসা বেড়েছে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে।
মিশেল সত্যি রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন কিনা তা তিনিই জানেন কিন্তু এবারের হতাশাপূর্ণ মার্কিন নির্বাচনের পর ডেমোক্র্যাটদের সামনে তিনিই আশার আলো।