ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নারায়নগন্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার প্রভাবশালী আসামি র্যাবের কতিপয় উর্ধতন কর্মকর্তা রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, যা সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের ফলে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হয়। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ওই মামলার বিচার নিষ্পত্তি করায় বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা আরো বেড়েছে।
এ থেকে প্রমাণ হয়েছে অপরাধী যত বড় হোক না কেনো, সে দায়মুক্তি পাবে না। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার দায়িত্ব পালনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রত্যেক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র চাকরির বিধান রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘বিচারকদের শৃঙ্খলার বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পক্ষে স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সংগত কারণে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা প্রণয়ন আবশ্যক বলে এর খসড়া প্রণীত হয়েছে’।
প্রধান বিচারপতি অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট প্রকাশের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সামান্য বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও তা অচিরেই দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বিচারকদের স্বতন্ত্র আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশা করেন।