‘রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের চাহিদা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু এটা নিয়ে এতো কথার রহস্য কী? সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আপনারা চাইলে কালই এটা বন্ধ করে দিতে পারি।’
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে আকম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত জোট সরকার বিদ্যুতের এমন অবস্থা করে দিয়েছিলো, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না। বিদ্যুতের জন্য তখন এক ধরণের হাহাকার ছিলো। তখন জেনারেটরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য মানুষ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরচ করতো। আমরা সে অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছি। লোডশেডিং কমিয়ে এনেছি।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, সমস্যা জিইয়ে রাখতেই যেনো সবাই পছন্দ করেন। অনেকেই সুখ পেলে দুখের দিনের কথা ভুলে যায়। এ বিদ্যুৎ দিয়ে এসি চালিয়ে তারা আমাদের সমালোচনা করে। কেউ হয়তো ব্যবসা পায়নি, সেজন্য তাদের এতো জ্বালা। আমরা ৬২ থেকে ৬৪ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারছি। এটাকে আমরা শতভাগে উন্নীত করতে চাই।’
আবদুর রহমান বদির এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত বিদ্যুতের প্রাপ্যতা। দেশের আর্থ-সামাজিক খাতের উন্নয়নের লক্ষে সরকার বিদ্যুৎ খাতের উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। যার ফলে ২০১৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার ক্ষেত্রে ১০ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১১ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে। ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।’
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত যেসকল বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ প্রকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে তারা ১৫ বছর পর্যন্ত কর অব্যহতির সুযোগ পাচ্ছে।’
এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ৬টি ধাপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করেছে। দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সকল জেলা ইউনিট অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যহত রেখেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ অস্ত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যহত আছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অর্পিত দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো প্রার্থী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং আনসার ভিডিপি নিয়োগ করেছে ইসি। ভোট কেন্দ্রে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি। সেনাবাহিনী, র্যাব বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স হিসেবে কাজ করছে। তাদের সমন্বিত দায়িত্ব গ্রহণের ফলে ভোটাররা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাচ্ছেন।’