ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, তাঁদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। দেশে আর কোনো দিন এক দলীয় নির্বাচন হবে না। বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একসঙ্গে চলবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন। বিএনপি-জোটের শরিক দল লেবার পার্টি পিলখানা ট্র্যাজেডি স্মরণে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
দুটি ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার চলছে। বিচার আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে আছে। বিএনপির নেতারা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত তাঁর সাজা হবে। এটি হলে বিএনপি কীভাবে চলবে, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না, এসব বিষয়ে দলেও নানা আলোচনা চলছে।
এমন প্রেক্ষাপটে স্বৈরাচার এরশাদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার শাস্তি হলে নির্বাচন করতে পারবেন না, এটা ঠিক নয়। মিথ্যা মামলায় সাজা হলে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।
মওদুদ বলেন, ‘ধরে নিলাম মিথ্যা মামলায় একটি রায়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) সাজা হয়ে গেল। ভালো কথা, আমরা আপিল ফাইল করব। আপিলটা হলো কনটিনিউশন অব দা প্রসিডিংস। অর্থাৎ যে বিচার হয়েছে, এটা হলো সে বিচারের ধারাবাহিকতা। তখন আমরা তাঁর জন্য ইনশাআল্লাহ জামিন নেব। বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলেও নির্বাচনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাজা হলেও খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দল ও জোটের নেতৃত্বও দিতে পারবেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারও বড় কথা নয়। গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তা শুধু নির্বাচনের এক মাসে আগে নয়, এখন থেকেই সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সব নেতা-কর্মীর নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে।
মওদুদ বলেন, বিএনপি শন্তিপূর্ণভাবে আলাপ আলোচনা, সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসন করতে চাই। তা সম্ভব না হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না। আগামী নির্বাচন এক দলীয় কোনো নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না। সে ধরনের পরিকল্পনা কারও থাকলে তারা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন আছেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য বিএনপির আন্দোলনও চলবে নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে।
মওদদু আহমদ অভিযোগ করেন, বিডিআর বিদ্রোহ দমনে সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়নি। কারা এই সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পেছনে ছিল, কী উদ্দেশ্য ছিল এসব জনগণকে জানাতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারে না।
অন্যদের মধ্যে লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।