ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দুজনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও খুনি এবং পাকবন্ধু ছিলেন এইমর্মে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মানহানী এবং দেশদ্রোহীতার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ জুন'২০১৭ পুনঃ ধার্য করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
আজ ১২ মার্চ রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী পল্টন থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুনরায় নতুন করে ১২ জুন দিন ধার্য করেন। মামলার অপর আসামি হলেন,বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন ও ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দেন তারেক রহমান। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাহিদ এফ সরদার সাদী এক লিখিত বিবৃতিতে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করেন। তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধু নন, পাকবন্ধু।” পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এ বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারায় তারেকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কোতয়ালী থানার সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতে তারেক রহমান ও সাদীর পক্ষে আইনজীবি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, আব্দুল খালেক মিলন,শাহজাদী কহিনুর পাপরি, জেসমিন জাহান, হান্নান,জাকির প্রমুখ।