DMCA.com Protection Status
title="৭

চট্রগ্রাম আওয়ামী লীগে চরম দন্ধঃমুখোমুখী মহিউদ্দীন-নাছির।

 


ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিগত কিছুদিন ধরে চটগ্রামের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অন্তর্দন্ধ প্রকট হয়ে উঠেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী সাহেব বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। উন্মাদ হয়ে গেছেন। মেয়র হতে চেয়েছিলেন। হতে পারেননি। এখন বয়স  হয়ে গেছে। ভবিষ্যতেও হতে পারবেন না। তাই এ ধরনের ঢালাও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’


  গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। গত সোমবার লালদীঘির মাঠে সমাবেশে তার বিরুদ্ধে নিজ দলের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তোলা বিভিন্ন অভিযোগের উত্তরও দেন তিনি।


একই সঙ্গে মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পেও দুর্নীতি হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন। বিএনপির নেতা, সন্ত্রাসী ও খুনিদের নিয়ে এক মঞ্চে বসে মহিউদ্দিন চৌধুরী সমাবেশ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।


আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কোনো সুস্থ মানুষের মুখে এ ধরনের বক্তব্য উচ্চারিত হতে পারে না। উনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দায়িত্বশীল জায়গায় আছেন। ১৭ বছর মেয়র ছিলেন। উনি সভাপতি। আমি সাধারণ সম্পাদক। এ কমিটি কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছেন। উনার কোনো অভিযোগ থাকলে ফোরামে বক্তব্য দিতে পারতেন। যদি ফোরামে আলোচনার সুযোগ না পান তবে কেন্দ্রকে জানাতে পারতেন।


মহিউদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নিজমুখে মেয়র পদে মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন। এ মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। টাকা কে খেয়েছে?
কে দিয়েছেন, কীভাবে দিয়েছেন উনার কাছে জানতে চাই। তিনজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের মনোনয়নও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।’


নাছির উদ্দীন বলেন, ‘উনি বলেছেন, আমি ১২টা খুন করেছি, আমি হাসতে হাসতে গুলি করতে পারি। এটা কোথায় দেখেছেন উনি। এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দেয়ার জন্য আমি দাবি করছি।’


সিটি করপোরেশনের দরজায় তালা মেরে মেয়র বন্দর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বসে থাকেন এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন সাংবাদিকরা এখানে আসেন। অফিস সময়ের অনেক আগে সিটি করপোরেশনের কার্যালয় খোলা হয়।


কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কাজের চাপ থাকায় অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করি। এমনকি উৎসবের দিনগুলোতেও কার্যালয় খোলা রাখা হয়। এখানে (চসিক) সিসিটিভি আছে। বন্দরেও সিসিটিভি আছে। ফুটেজ নিলে এটার উত্তরটা পাওয়া যাবে।’


খুনিদের সঙ্গে নিয়ে লালদীঘির মাঠে মহিউদ্দিন চৌধুরী সমাবেশ করেছেন উল্লেখ করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ওই মঞ্চে কারা ছিল, কে ছিলেন। তাকে চট্টগ্রামের পুলিশ, চট্টগ্রামবাসী ও নন্দনকাননবাসী কী হিসেবে জানে (পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীকে ইঙ্গিত করেন)।


পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহসিন ছিলেন। যিনি ২০১৩-১৪ সালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর ছিল। এগুলো কীসের আলামত। উনার লজ্জা থাকা উচিত।’


নাছির বলেন, ‘পাগলের অনেক পাগলামি। পাগলামিগুলো আমি থোড়াই কেয়ার করি। উনি ইরাকে দশ হাজার যোদ্ধা পাঠাবেন বলেছিলেন। পাঠিয়েছিলেন? কাস্টমসের দুর্নীতিবাজদের তালিকা করবেন বলেছিলেন, করেছিলেন? এমএ লতিফকে মাথায় লাঠি দিয়ে মারবেন বলেছিলেন।


এখন উনার পাশে দাঁড়িয়ে জানাজা পড়ছেন। একই টেবিলে বসে ভাতও খাচ্ছেন। আবার হাতও মেলাচ্ছেন। ছালাম সাহেবের চৌদ্দগোষ্ঠী ধুয়ে ফেলেছিলেন। সিডিএ ঘেরাও করেছিলেন। জুতাও মেরেছিলেন। ছালাম সাহেবের ফাঁসি দাবি করছেন, আবার উনার মেজবানের দাওয়াতে সবার আগে গিয়ে বসে থাকছেন। উনি তো অনেক কথা বলেন। পাগলে কিনা বলে। ছাগলে কি না খায়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!