প্রথমবারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেল সিলেটবাসীর। আয়োজকদের ব্যর্থতায় সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার বুধবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফা আলোক বিভ্রাটে খেলা স্থগিত রাখতে হয়।
ফলে চরম সমালোচনার মুখে এখন সিলেটের আয়োজকরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেয়া ১২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে গিয়ে ইনিংসের মাঝ পথ থেকেই ফ্লাড লাইটের আলো কমতে শুরু করে। প্রথম দফা অল্প কিছুক্ষণের বিরতীর পর আলো স্বাভাবিক হলে আবারও খেলা শুরু হয়। কিন্তু ১৩ মিনিট পরই আরেক দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যায় যা রাত ১০টা ১০ মিনিটে শুরু হয়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারেনি আয়োজকরা।
এর আগে গত ১২ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালে দুই দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে ওইদিন। এর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় প্রায় ২০ মিনিট খেলা বন্ধ রাখা হয়।
তারও আগে ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে নজিরবিহীন ব্ল্যাক আউটের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই ব্ল্যাক আউটের কারণেই ম্যাচটি হেরেছিল স্বাগতিকরা। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
এদিকে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যমুনা ছাড়া দেশের সব সার কারখানা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেট্রোবাংলা। তারপরও সিলেটে কেন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলো তা জানাতে পারেনি কেউ।