ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবশেষে ইতিহাসকে অস্বিকার করে কাল্পনিক পুরানকাহিনীর উপর ভিত্তি করে ভারতে বাবরী মসজিদ ধংশের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রায় ৩ যুগ পর।
আজ ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে ১৯৯০’র দশকে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আদালতের এ আদেশ বিজেপি’র সাবেক প্রধান লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং তার সহকর্মীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে এ বিচার শেষ করতে হবে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন বিজেপি নেতৃত্বের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্যের কারণে হিন্দুরা ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল।
যদিও বিজেপি নেতৃবৃন্দ এ ধরনের কোন বক্তব্য দেবার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় দুই হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছিল।
হিন্দুরা দাবী করে বাবরি মসজিদ যে জায়গাটিতে অবস্থিত সেখানে হিন্দুদের অন্যতম দেবতা রামের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ১৯১৬ শতকে সে এলাকায় মুসলিম আগ্রাসনের পরে হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ নির্মাণ করা হয় বলেও হিন্দুরা দাবী করেন।
এ জায়গাটিতে মসজিদ থাকবে নাকি মন্দির থাকবে সে বিষয়টি আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এ সংক্রান্ত কোন রায় না দিয়ে উভয় সম্প্রদায়কে পরামর্শ দিয়েছে যাতে দুই পক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে।
শীর্ষ আদালত মনে করে, ধর্ম আর বিশ্বাসের সঙ্গে এই সমস্যা জড়িত। তাই এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ের সমাধান একমাত্র আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।
কিন্তু সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটির দায় কোনো ভাবেই এড়াতে পারছেন না তৎকালীন বিজেপি’র সিনিয়র নেতারা।কারন এই বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার মধ্য দিয়েই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে উগ্র হিন্দুবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিলো এবং বিজেপির আজকের অবস্থান তৈরীতে ভারতের সংগরিষ্ট হিন্দুদের মাঝে উন্মাদনা সৃষ্ঠিতে সহায়তা করেছিলো।