ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অনৈতিক কাজ করে সিরাজগন্জের একজন দিনমজুরের ছেলে আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফের রাতারাতি উত্বান এতোটাই বিষ্ময়কর যে তা বলিউডের সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়।
বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমের এসব অবিশ্বাস্য কাহিনী জানতে পারে জনগন।
জানা গেছে,অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অন্তত ৭ মন্ত্রী , ১৩ এমপি সহ আরও বহু গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে নিয়মিতভাবে সুন্দরী নারী সাপ্লাই করতো আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়দানকারী এই ধর্ষক নাঈম ওরফে হালিম।
পুলিশ রিমান্ডে সে জানিয়েছে এসব ভয়ঙ্কর তথ্য।
এসব নারী ভোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের সেতুমন্ত্রী ও আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাসিমের ছেলে তানভীর জয় সহ আরও অনেকে।
হালিম আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে শোবিজ কিংবা মিডিয়ার লোকজন তার সঙ্গে সেলফি তুলতে আগ্রহ করতো আবার তার সঙ্গে অনেক মেয়েদের যোগাযোগ থাকার কারণে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এমপি তাকে বিশেষ খাতির করতেন। এদের মধ্যে আছে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেহ পলক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিমের ছেলেসহ অনেক রাজনীতিক।
মিডিয়া বা শোবিজের সঙ্গে জড়িত কিংবা অনেক উঠতি বয়সের উচ্চাভিলাষী দুই শতাধিক মেয়ের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্কের কথা শিকার করেছে নাঈম।
জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলে তানভীর জয়ে সঙ্গে কমপক্ষে তিনজন মডেলের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তার মাধ্যমে আরো একাধিক এমপির সঙ্গে নাঈমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এভাবেই আওয়ামী লীগের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক গভীর হতে শুরু করে। কমপক্ষে দুজন মন্ত্রী এবং ১৩ জন এমপির সঙ্গে একান্তে বসে মদ্যপান করতেন এই নাঈম।
এসময় মন্ত্রী এমপিদের অনুরোধে অনেক শোবিজ কিংবা অভিজাত পরিবারের মেয়েরাও মদের আড্ডায় শামিল হতো।
নাঈম জানায়, এসব কারণে মিডিয়াতে এবং আওয়ামী রাজনৈতিক মহলে তার দ্রুতই ব্যাপক প্রভাব বাড়তে থাকে। পুলিশ সূত্রটি দাবি করেছে, একজন মডেল নিয়ে তার সঙ্গে হাসান মাহমুদের কথা কাটাকাটি হয়েছে।
নাঈম জানায় ওই মডেলটি হাসান মাহমুদের বিশেষ পছন্দের হলেও ওই মডেলটি হাসান মাহমুদকে বিকৃত রুচির বলে মনে করে। এটি নিয়ে হাসান মাহমুদ তার উপর বেজায় ক্ষুব্ধ হন।