ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
এসময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বহরের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
অন্যান্য আহতরা হলেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম।
রোববার সকাল ১০ টার দিকে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহর রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী বাজারে পৌঁছার পরই তারা এ হামলা চালায় বলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ কে জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল আমাদের বলেন, ২০-২৫ জন লোক অতর্কিতে গাড়িবহরে লাঠিসোঁটা, রামদাসহ হামলা করে। আমার গাড়ির সমস্ত কাঁচ ভেঙে গেছে। গাড়ি তছনছ করা হয়েছে। গাড়ির ভাঙা কাচ আমার শরীরে এসে লেগেছে। আমাদের আরো কয়েক নেতাও আহত হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমার হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, আমরা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। ওই জায়গার বীভৎসতা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। প্রত্যেক হামলাকারীর হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোঁঠা ছিল। তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ বলেন, আমাদের বহরে ৮/৯ টি গাড়ি ছিলো, এরমধ্যে ৫টি গাড়ি ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। আমাদের ছয়জনের বাইরেও অনেক নেতা আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক হয়ে ৪টি গাড়ি রাঙ্গামাটির দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ইছাখালী হাসপাতালের সামনে হঠাৎ ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়িগুলোর গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা গাড়ি বহরে হামলা ও ভাংচুর করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে গাড়িগুলো রাঙ্গামাটির দিকে অগ্রসর না হয়ে চট্টগ্রামের দিকে ফেরত যায়।এব্যাপারে পুলিশ এবং প্রশাসনের মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।