দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অত্যন্ত ‘অশোভন আচরণ’ করায় চট্টগ্রামের রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এহছানুল হায়দার চৌধুরী (ঘি বাবুল)কে এক ঘন্টা আটকে রাখার পর মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলকে আটকে রাখেন চিকিৎসকরা।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে এক পরিচিত রোগীকে দেখতে যান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। এ সময় রোগীর স্বজনরা জানান যে তারা ভালোভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। এ কথা শুনে শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বাবুল। বিষয়টি জানতে পেরে অন্যান্যচিকিৎসকরা দ্রুত এসে বাবুলকে আটকে রাখেন। এসময় হেনস্থার শিকার হন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলও।
এরপর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তার হস্তক্ষেপে এক ঘন্টা আটকে থাকার পর মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
অসৎ উদ্দেশ্যে ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে দুর্ব্যবহারও একই সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্বীকার করেন তিনি। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এমন মুচলেকা দিয়ে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি।
মুচলেকায় নিজের কৃতকর্মের জন্য বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. মো. দিদারউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. অজয় কুমার দে, ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ঋভুরাজ চক্রবর্ত্তী মুচলেকায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
অসৎ উদ্দেশ্যে ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।
চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে দুর্ব্যবহারও একই সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্বীকার করেন তিনি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এমন মুচলেকা দিয়ে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি। মুচলেকায় নিজের কৃতকর্মের জন্য বিএমএ
চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।
মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. মো. দিদারউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. অজয় কুমার দে, ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ঋভুরাজ চক্রবর্ত্তী মুচলেকায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
জানতে চাইলে বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান বলেন, ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকে শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল। সমঝোতার মাধ্যমে ওনাকে যেতে দেওয়া হয়েছে। তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনা তদন্তের জন্য পরিচালককে বলা হয়েছে। ওনার (বাবুল) কাছ থেকে মুচলেখা নেওয়া হয়েছে।