ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল হাসিনা বিরোধী প্রতিবাদ প্রতিরোধের পর এবার হাসিনা বিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে লন্ডন মহানগরীর ডাউন টাউন। দির্ঘ ১৬ দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান শেষে দেশে ফেরার পথে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল সোয়া ৩টা) লন্ডন পৌঁছান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের পর লন্ডনেও তার আগমন উপলক্ষ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রর্দশন করেছে বিএনপি সমর্থক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে পক্ষ কাল কাটানোর পর সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলেও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাউনাইন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
লন্ডনে নির্ধারিত হোটেলে শেখ হাসিনা পৌছার আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেয় বিএনপি সমর্থক হাজারো কর্মী-সমর্থক। হাতে কালো পতাকা ও মাথায় কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ-শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে দ্য স্যভয় হোটেলের সামনের সড়ক। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ, গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শনে সমবেত হন বিএনপি সমর্থক নেতাকর্মীরা। এসময় নো মোর হাসিনা, গো ব্যাক হাসিনা, স্টপ কিলিং, সেভ বাংলাদেশ, রিস্টোর ডেমোক্রেসি ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত ব্যনার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন তারা।
বিপুল সংখ্যক হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরব উপস্থিতির কারনে হাসিনা এবং তার সফর সঙ্গীদের কড়া পুলিশ প্রহরায় পেছনের দরজা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, বিএনপি নেতা সর্বজনাব আবুল কালাম আজাদ, তৈমুছ আলী, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া , গোলাম রব্বানী শহিদুল ইসলাম মামুন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, তাজ উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, খসরুজ্জামান খসরু, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, শামসুর রহমান মাহতাব, দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, ফেরদৌস আলম, আলহাজ সাদিক মিয়া, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, আশরাফুল ইসলাম হীরা, রহিম উদ্দিন, নাসির আহমদ শাহীন, আমিনুর রহমান আকরাম, আব্দুল হামিদ খান হেভেন, তাজবির চৌধুরী শিমুল, আফজল হোসেন, আবু নাসের, আখতার মাহমুদ, সেলিম আহমেদ, এডভোকেট লিয়াকত আলী, জাহিদ হোসেন গাজী, সরফরাজ আহমদে সরফু, গুলজার আহমেদ, বাবুল আহমেদ চৌধুরী, কামাল চৌধুরী, এ জে লিমন, হেলাল উদ্দিন, আরিফ মাহফুজ, লুবায়েক আহমেদ চৌধুরী, শিশু মিয়া, হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম রিবলু, লাহিন আহমদ, মোস্তাক আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন, মোঃ ফয়জুল হক, বশির মিয়া, আব্দুল হাই, মিসবাহ উদ্দিন, হারুন মিয়া, তৈয়বুর রহমান হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান আহমেদ, মাহবুব আহমেদ নোমান, হাসান আহমেদ, মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুর রব, কদর উদ্দিন, আব্দুল গাফফার, তারেক এ চৌধুরী, খালেদ চৌধুরী, সোহেল আহমদ, কাওছার আহমেদ, আবু তাহের, জামাল উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, আরিফুল হক, ইফতেখার আহমেদ রুবেল, মোঃ জিয়াউর রহমান, নজরুল ইসলাম মাসুক, মোঃ সেলিম মাহমুদ, শফিক মিয়া, মোঃ মাকসুদুল হক, এডভোকেট শেখ তারেকুল ইসলাম, সৈয়দ জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দ আকবর, সৈয়দ আতাউর রহমান সিহাব আহমেদ, জয়নাল আবেদিন, মোঃ মহসিন আহমেদ, আবু নোমান, মিছবাহ উদ্দিন, মোঃ ওমর গনি, ফখরুল ইসলাম, রেজাউর রহমান চৌধুরী রাজু, রায়হান চৌধুরী, মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল বারী, আব্দুল হামিদ, জামাল ইদ্দিন, আবু তালেব, মো: রিয়াজুল হক, আলম হোসাইন, মোঃ নূরে আলম সোহেল, জামাল উদ্দিন রুবেল, মাকসুদুর রহমান, মাওলানা শামিম আহমেদ, কয়েস আহমেদ, সাজু আহমেদ, মিসবাহ বিএস চৌধুরী, আবুল হোসেন, ডালিয়া লাকুরিয়া, সৈয়দ লায়েক মোস্তাফক, আব্দুল হক রাজ, দেওয়ান আব্দুল বাছিত, আকতার হোসাইন শাহিন, বাবর চৌধুরী, শাহজাহান হোসাইন শেনাজ, শাহজাহান আহমেদ, নুরুল আলী, ডাক্তার শেখ মন্সুর আহমেদ, মোজাহিদুল ইসলাম সুমন, শাহেদ আহমেদ, সুয়েদুল হাসান, মোশারফ হোসেন, শাকিল আহমেদ, কিব্রিয়া ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম দিপু, জাহাঙ্গীর আলম শিমু, জাহেদ আহমদ তালুকদার, আজির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, আকমল হোসেন, ফিরোজ আলম, জুল আফরোজ, রাসেল শাহরিয়ার, মোফসল আলী, তরিকুর রশিদ চৌধুরী শওকত, বদরুল ইসলাম, আব্দুল মোতালিব লিটন, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ইমতিয়াজ এনাম তামিম, মোঃ সফিউল ইসলাম মুরাদ, সোহেল শরিফ মোঃ করিম, রেজাউল করিম রিকি, ফুয়াদ আহমেদ, হুমায়ূন কবির হিমু, মনির আহমেদ, রেজান জামান প্রমুখ।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩শ’ প্রতিনিধির একটি বিশাল বহর নিয়ে নিউইয়র্কের পথে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের কর্মসূচি শেষে ২২ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ভার্জিনিয়ায় যান। সেখানে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সঙ্গে এক সপ্তাহ কাটিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর তার দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে তিনি ফিরেননি। শেখ হাসিনার এই অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসংক্রান্ত নানা খবর উঠে এসেছে। শেখ হাসিনার অবস্থান ও চিকিৎসা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে কিছু না জানিয়ে অনেকটা হঠাৎ করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে প্রধানমন্ত্রীর পিত্তথলিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠান তার প্রেস সচিব।
যদিও মাত্র কয়েকদিন আগে দেশেই সকল চিকিৎসা নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এদিকে জয়ের কোন বাড়িতে অবস্থান করেছেন সেটিও পরিস্কার নয়। তার একাধিক বিলাস বহুল বাড়ি রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র খবর উঠে এসেছে।