ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব:) ভি. কে. সিং।
সম্প্রতি ভারতীয় সংসদ লোকসভায় দেশটির বিজু জনতা দল (বিজেডি) সাংসদ শ্রীমতি প্রত্যুষা রাজেশ্বরী সিং’এর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান।
লোকসভায় বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধ কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসী হামলার বারাবারি নিয়ে সে দেশের সরকারের সাথে ভারত কোনরকম আলোচনা করেছে কি না, যদি তাই হয়, তবে তার বিস্তারিত ও ফলাফল কি?
বিজেডি সংসদ সদস্যে সেই প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি. কে. সিং বলেন, ‘যৌথ পরামর্শদাতা কমিশন, পররাষ্ট্র সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক, নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যৌথ কার্যকরী গ্রুপ, মানবপাচার সম্পর্কিত যৌথ টাস্ক ফোর্স, ভুয়া ভারতীয় নোট সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিয়মিত সমন্বয় রেখে চলেছে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আমাদের নিরাপত্তা সম্পর্কিতসহ সমস্ত বিষয়গুলির প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকান্ডে পারস্পরিক বৈধ সহায়তা, সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রত্যার্পণ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের মোকাবেলা, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ মাদক পাচারচক্রসহ একাধিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত এবং অনুমোদিত হয়েছে’।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানান ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে সেদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী কোন কার্যকলাপকে বরদাস্ত করা হবে না এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সেদেশের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির কর্মকান্ড, তাদের গোপন ঘাঁটি, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, ভুয়া ভারতীয় নোট পাচারসহ নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুগুলি নিয়েও আমাদের দুই দেশের আলোচনা হয়েছে’।
ভি. কে. সিং বলেন, ‘২০১১ সালে জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমন্বয়যুক্ত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিয়েও কথা হয়েছে, এর পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ শুরু করে সীমান্ত নাশকতা, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন বৃদ্ধি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর অরক্ষিত এলাকাগুলি চিহ্নিতকরণ করে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দুই দেশই পরস্পরকে সহায়তা করে আসছে।
দুই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ধরনের আলোচনা চলতে থাকবে বলেও জানান ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।