ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা একটি মামলায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা ওরফে এরশাদকে (৩৪) এক তরুণীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মাসুদ রানা এরশাদ গাজীপুর শহরের রথখোলা এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে। গ্রেফতার তরুণী মনিষা ভাদুরী মেরী গাজীপুর শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথির জুয়েল ভাদুরির মেয়ে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন মাসুদ রানা এরশাদের স্ত্রী নাজমুন নাহার ওরফে রুনি (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী নাজমুন নাহার রুনি গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে মাসুদ রানার সঙ্গে বিয়ে হয়। যৌতুক হিসেবে তাকে ৩০ লাখ টাকার মূল্যেও একটি প্রিমিও মডেলের গাড়িও দেয়া হয়। তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী এরশাদ কারণে অকারণে তাকে অত্যাচার শুরু করে। এর মধ্যে তিনি মনিষা ভাদুরী মেরী নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরকীয়ায় বাধা দিলে তাকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে স্বামী। গত ৮ জুলাই তার স্বামী আরও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দিতে অস্বীকার করলে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। পরকীয়ার জের ধরে গত ১১ জুলাই আবারও তামে বেধম মারধর করে তার স্বামী। পরে তিনি স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে যান। বুধবার রাতে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে মাসুদ রানা এরশাদকে গ্রেফতার করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মনিষা ভাদুরী মেরীর বোন জয় ভাদুরী (২৮) মা রিনা আচার্য (৫০) ও গাজীপুর সদরের বাড়িয়া এলাকার কামরুল ইসলাম (৩৮)।
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।