ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দিনের প্রথম সূর্যটা মাঝে মাঝে ভিন্ন বার্তাও দিতে পারে। অন্তত গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে তেমনটাই প্রমাণ করলো আজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দিনের শুরুতে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের যে ইঙ্গিত মিলেছিল, তা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের অসাধারণ ব্যাটিং জুটিতে তো কেটেছেই, বরং অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছে চ্যালেঞ্জিং একটা স্থানে।
শূন্য রানে বিজয়ের বিদায়ের পর ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন সাকিব আল হাসান। তামিমের সঙ্গে জুটি বেধে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু মাত্র ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হয়ে যেতে হলো সাকিবকে।
গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামের উইকেট দেখতে মনে হচ্ছিল কিছুটা স্লো। তারওপর ম্যাচ শুরুর প্রথম দিকেই কিছুক্ষণের বৃষ্টির জন্য উইকেট আরও ভারি হয়ে ওঠার কথা। সেটাই দেখা যাচ্ছিল। যদিও বাংলাদেশ দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল মিলে দেখে-শুনে ক্যারিবীয় বোলারদের মোকাবেলা করে যান। যার ফলশ্রুতিতে ২০০ প্লাস রানের জুটি হলো বাংলাদেশের।
অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দিলেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। প্রতিকূল পরিবেশে এমন ব্যাটিংই তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। যদিও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো তাকে।
১২১ বল মোকাবেলা করা ইনিংসটিতে বাউন্ডারি ছিল মাত্র ৬টি। কোনো ছক্কার মার ছিল না। এতেই বোঝা যায়, কতটা ধৈয্যশীল ব্যাটিং করেছেন সাকিব। শেষ টেস্টের শেষ দিকে এসে ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরে পাওয়ার পর নিজের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে এসে সেটার দারুণ প্রয়োগ ঘটালেন সাকিব।
যদিও দেবেন্দ্র বিশুর করা ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে ফেলেন। বল উঠে যাওয়ার পর হেটমায়ার দারুণ দক্ষতায় বলটি তালুবন্দী করে নেন। ৮ম সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ওয়ানডেতে ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি করেন সাকিব আল হাসান।