ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিজেপির নেতা ও রাজ্যসভার এমপি সুব্রহ্মন্যম স্বামী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চরম নির্যাতন চলছে, এমন চলতে থাকলে ভারতের বাংলাদেশে আক্রমণ চালানো উচিত।
ত্রিপুরায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘ভারত সব সময় বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন, তাদের ধর্মান্তরিতকরণ, হিন্দু মন্দিতে ভাঙচুর, মন্দিরকে মসজিদে রুপান্তরিতকরণ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যদি বাংলাদেশ হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না করে তবে আমি ভারত সরকারকে বাংলাদেশ আক্রমণের পরামর্শ দেব।’
রোববারের এই সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জি নিয়ে স্বামী বলেন, বিগত ৪ বছর ধরে সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, তা ঠিকভাবে সম্পন্ন করা হবে। প্রসঙ্গত আসামের নাগরিক পঞ্জির খসড়া থেকে বাদ যায় প্রায় ৪০ লাখ বাংলাভাষীর নাম। যা নিয়ে ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। স্বামী দাবি করেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাতে দুইটি জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, হিন্দুত্ববাদ ও দুর্নীতি। এই দুই ইস্যু ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য আমাদের আরেক বার ক্ষমতায় থাকা দরকার।
এদিন আগরতলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও প্রচন্ড আক্রমণ করে স্বামী। তিনি বলেন, ‘তিনি নামেই প্রধানমন্ত্রী আসলে তিনি চাপরাশি। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ মূলত আইএস, জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর হাতে।’ এই সময় ভারত পাকিস্তান সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানকে চারভাগ করার পরামর্শ দিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, সিন্ধ, বেলুচিস্তান, পাখতুন ও পশ্চিম পাকিস্তান, এই চারভাগে পাকিস্তানকে ভাগ করলেই পাক-ভারত সমস্যা মিটতে পারে। এই সময় পশ্চিম পাকিস্তান বাদে বাকি তিন অংশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও করেন স্বামী।
২০১৪ সালের এপ্রিলে এই বিজেপি নেতা দাবি করেছিলেন, দেশভাগের পর বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। বাংলাদেশকে হয় এদের ফিরিয়ে নিতে হবে নয়তো খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা মোতাবেক বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখ- ভারতের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।