ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও ভোজেশ্বর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিয়ার রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভোজেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী ও পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক পলাশ শীলকে ১৫ পিস ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেন বলে এসআই আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে পূজা উদযাপনের জন্য পলাশের কাছে জমা রাখা পৌনে চার লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন এসআই আতিয়ার।
এদিকে, স্থানীয় ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও নড়িয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির সহায়তায় পলাশ শীলকে দুই লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ভোজেশ্বর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বসে এ টাকা ফেরত দেয়া হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার রাতে এসআই আতিয়ার রহমান ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে পাঁচক গ্রামের শ্যামল শীলের বাড়িতে যান। এ সময় শ্যামলের ছেলে পলাশ শীলকে আটক করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘরের জিনিসপত্র তল্লাশি করে ১৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায় বলে দাবি করেন এসআই আতিয়ার রহমান। পাশাপাশি পূজার জন্য তোলা পৌনে চার লাখ টাকা নিয়ে যান তিনি।
বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বিদের জানালে তারা পরের দিন থানায় যোগাযোগ করেন। তখন এসআই আতিয়ার রহমান এক লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন। বুধবার পলাশের পরিবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
নড়িয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন ব্যানার্জি বলেন, পাঁচক দাসপাড়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক পলাশ। তার কাছে পূজার চাঁদার টাকা জমা ছিল। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে তাকে আটকের সময় ঘর থেকে পৌনে চার লাখ টাকা নিয়ে যান এসআই আতিয়ার রহমান। স্থানীয়দের চাপের মুখে দুই লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন আতিয়ার। পরে সেই টাকা শনিবার ফেরত দেয়া হয়।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ইয়াবাসহ পলাশকে আটকের পর তার মা কল্পনা রানী পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই বিষয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি এসআই আতিয়ার রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। পলাশের পরিবারকে কিছু টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।