ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নতুন কারাদন্ডকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। খ্যাতিমান ব্রিটিশ আইনজীবি লর্ড কর্লাইলের বক্তব্যের উদ্ধৃতিসহ ডেভিড বার্গম্যানের সেই প্রতিবেদনটি ভাষান্তর পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়ে ঢাকার পুরনো কারাগারে আটক আছেন। এই কারাদন্ডকে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন প্রখ্যাত বৃটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল। মামলায় সরকারপক্ষ যাচ্ছেতাই প্রমানাদি দেখানোর পরও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই রায় এসেছে, যা সঠিক হয়নি বলেও মনে করছেন এই আইনজীবী। লর্ড কার্লাইল সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশী আইনী পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, “এমন একটি অভিযোগও সরকার উপস্থাপন করতে পারেনি যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে এই ধরনের কারাদন্ড দেয়া যায়। তার বিরুদ্ধে আদালতে উপস্থাপিত সকল তথ্যদি দেখে ও বিশ্লেষন করে এই রায়কে অন্যায্য বলেই মনে হয়েছে আমার। তিনি আদৌ কোন ধরনের দুর্নীতি বা জালিয়াতির সাথে জড়িত ছিলেন তা তারা প্রমান করতে পারেনি। মুল কথা হলো, এই বছরের শেষার্ধে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। আমার মনে হয়েছে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী সকল প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার মত সরকারের হাতে আর কোন অযুহাত ছিলনা। তাই এই ধরনের একটি খোড়া মামলায় তাকে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে।”
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখে কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাকে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। আদালত তার বড় ছেলে তারেক জিয়া এবং অন্য ৪ আসামীকেও ১০ বছরের কারাবাস প্রদান করে।