ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এই মুহূর্তে স্বস্ত্রীক ভারতে প্রমোদ ভ্রমণে রয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫ জন পদস্থ কর্মকর্তা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এ ভারত সফর ইতোমধ্যেই জনমনে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
গত ২৬ নভেম্বর ভারতের অর্থায়ন ও পূর্ণাংঙ্গ সহযোগিতায় স্বস্ত্রীক ভারতে যান এই ২৫ সেনা কর্মকর্তা। আগামী ২ ডিসেম্বর তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর দু’টি বিমানে করে তাদের বিশেষ মর্যাদায় ভারতে নিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তাদের এ সফর জনমনে আরও বেশি সন্দেহ সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এই ২৫ কর্মকর্তার পরিচয় গোপন রাখা ও বাহিনীতে তাদের অবস্থান কি সে সম্পর্কিত তথ্য কোন পক্ষ থেকেই প্রকাশ না করায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিশেষভাবে নির্ধারিত এই দু’টি সামরিক বিমানে করেই ৫০ সদস্যের এ দলটি দিল্লী, আগ্রা, কলকাতা ও চুরুলিয়াতে ভ্রমণ করবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান এম এ আজিজের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়েই ভারত এই ভ্রমণের আয়োজন করেছে বলে তাদের দাবি।
বাংলাদেশের বিগত ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচনে ভারতের প্রকাশ্য সমর্থনকে দেশের মানুষ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে। তাই এবারের নির্বাচনে ভারতের ভূমিকার দিকে সবাই সচেতনভাবেই নজর রাখছে। বাংলাদেশে যখন জাতীয় নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে তারই মধ্যে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু সেনা কর্মকর্তার এই বিশেষ ভ্রমণ জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সেনাবাহিনী দেশের মানুষের আস্থার স্থল। জাতীয় রাজনীতির এই সঙ্কটকালীন মূহুর্তে বৈরি আচরণ প্রদর্শনকারী ভারতের সাথে সেনা কর্মকর্তাদের এই দহরম মহরম বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যত নিয়ে স্বাধীনচেতা জনগণকে শঙ্কায় ফেলেছে। সেই সাথে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভবিষ্যত কি তা নিয়েও নতুন করে ভাবনায় পড়েছে দেশের মানুষ।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশকে মরুকরণ, অব্যাহত সীমান্ত হত্যা, জনসমর্থনহীন অবৈধ সরকারকে সমর্থন, অস্ত্র ও মাদক পাচার, ব্যবসা-বাণিজ্যে হস্তক্ষেপসহ বাংলাদেশের সাধারন জনগণের সাথে নানাভাবে বৈরিতা করে আসছে প্রতিবেশী ভারত। শুধু যে বাংলাদেশের সাথেই এমনটি করছে তা নয়, প্রতিবেশী অন্যান্য রাষ্ট্রও ভারতের অপরাজনীতির শিকার। নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।