DMCA.com Protection Status
title="৭

মহান বিজয়ের মাসে নির্বাচন যেন প্রহসনে পরিনত না হয়: মির্জা ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  মহান বিজয়ের মাসে আসন্ন নির্বাচন যেন প্রহসনে রূপ না নেয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি সরকারকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের না করার আহবান জানান।

 

রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত বিজয় র‌্যঅলির আগে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

সরকারকে হুশিয়ার করে ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র ফখরুল বলেন, এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করবেন না। অবিলম্বে বিরোধীদের ওপর হামলা-মামলা ও গ্রেফতার বন্ধ করুন, অন্যথায় সব দায় আপনাদের নিতে হবে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।

 

এই নির্বাচনকে দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রে থাকবে নাকি দেশে গণতন্ত্রে ফিরবে। মানুষ স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারবে কি, পরাধীনতার জিঞ্জিরে আবদ্ধ থাকবে। তাই এই নির্বাচনকে প্রহসনের হতে দেয়া হবে না।

 

এই নির্বাচনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি নির্ভর করছে এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের ভোটেই সিদ্ধান্ত হবে আমাদের গণতন্ত্রের নেত্রী, আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে পারবো কি পারবো না।

 

বিজয়ের দিনে মানুষের মুখে হাসি নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ বিজয়ের দিনে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমরা আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত, আজকে আমরা আতঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত। এই দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে কি থাকবে না এ নিয়ে।’

 

‘এই নির্বাচনেই মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে যাবে, না-কি বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের দিকে যাবে’-যোগ করেন ফখরুল।

 

ভোটের সমতল ক্রীড়াভূমি তৈরিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সরকার নজিরবিহীনভাবে বিরোধীদলের নেতাকর্মী এমনকি প্রার্থীদেরও গ্রেফতার করছে, আমরা এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি।

 

তিনি বলেন, সরকার মিথ্যা মামলা দিচ্ছে এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো ভূমিকা রাখছে না। তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

 

বিএনপির প্রার্থীদের ওপর হামলা ও প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, শনিবার আমাদের দলের নেতা মির্জা আব্বাসের ওপরে হামলা হয়েছে। নোয়াখালীতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গুলি করা হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে। ঢাকা-৫ আসনের প্রার্থী নবী উল্লাহ নবীর এলাকায় একজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। রোজ রোজ প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে, অথচ নির্বাচন কমিশন নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কিছুই করে না।

 

নয়াপল্টন থেকে বিজয় র‌্যালি শুরু হয়। শেষ হয় মালিবাগ গিয়ে। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বিএনপর ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, জাসাস সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খানসহ ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল, জাসাসসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!