ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গতকাল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত হয়েছেন।এর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে তাকে মহান প্রমানে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই প্রতিযোগিতায় আমাদের বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরব অংশ গ্রহন ।
মানুষ মরে গেলে তার নাকি আর কোনো দোষ গুন থাকে না।এই পলিসি বোধহয় শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাদের জন্যেই প্রযোজ্য।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,তার কনিষ্ঠ পূত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকো,মরহুম সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী,ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ থেকে শুরু করে সম্প্রতি প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার ও তরিকুল ইসলাম পর্যন্ত তাই তো আমরা দেখতে পাই ,মৃত্যুর পরও তাদের উপর চলছে নিরন্তর বিষেদগার।
যে অকথ্য ভাষায় আমাদের প্রয়াত নেতাদের গালাগালী করেন আওয়ামী লীগের লোকজন তাতে আমি স্তম্বিত হয়ে যাই।
অথচ সদ্য প্রয়াত জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক থাকাকালীন সময়েই বাংলাদেশ এক অসীম ক্রান্তিকালে প্রবেশ করেছে।
তার সময়েই পিলখানা বিডিআর গনহত্যা ,মতিঝিল শাপলা চত্বর আলেম হত্যাকান্ড ,৫ই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এসব ঘটনার দায় তিনি দলের সাধারন সম্পাদক হিসাবে কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
কেউ ভয়ে কথা বলেনা বলে কি সব অন্যায় ন্যায় হয়ে যায়???
বাংলাদেশের ৯০ভাগ মুসলিম জনগনের ধর্মানুভূতিতেও তিনি চরম আঘাত করেছেন এই বলে,আমি মুসলমানও নই ,হিন্দুও নই।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ,বিএনপি নেতা-কর্মীদের আজ এই দৈন্য দশা কেন???
নাকি তাবৎ ভদ্রতা আর শিষ্টাচারের ঠিকাদারী আমরাই নিয়েছি ????
নাকি সহনশীলতার সকল হাদিস-কালাম শুধুমাত্র আমাদের জন্য প্রযোজ্য।
আমাদের ৭৩ বছর বয়স্ক নিরপরাধ অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এতটুকু ভদ্রতা কিংবা দয়া দেখায়নি এই হাসিনার আওয়ামী লীগ।এই কথাটি যেন আমরা ভূলে না যাই।
তাই এই অহেতুক চামচামী এখনি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।