ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগের কারণেই বাংলাদেশে পিছিয়ে থাকা নারীরা নিজেদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নারীরা দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি।’
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর সুখী, সমৃদ্ধশালী ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। অর্ধেকেরও বেশি নারী অধ্যুষিত বাংলাদেশের নারীরা সবসময়ই থেকেছে অবহেলিত।’
বিবৃতিতে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বাণী ‘বিশ্বব্যাপী যা কিছু সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় কবির এই ঐতিহাসিক বাণীটির যথার্থতা অনুধাবণ করে আমাদের দেশের নারীদের কল্যাণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশংসনীয় উদ্যোগে নারীরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান শাসনকালে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি। বর্তমান দুঃসময়ে নারী ও শিশুরা অতিমাত্রায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বন্দি। নারী হলেও তার ওপর চালানো হচ্ছে বন্য বিচারের জুলুম। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।’
তিনি নারী সমাজের প্রতি গুরুত্বারোপসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯১৪ সাল থেকে ৮ মার্চ বিশ্বের কয়েকটি দেশে নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।