দৈনি প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের গুঞ্জন রহস্যের অবসান হচ্ছে না। ১৪ এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা। পরিচয় গোপন করার শর্তে সিইসি কাজী রকিবের একজন ব্যক্তিগত সহকারী এ তথ্য জানান।
আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, স্যার নিউইয়র্ক যাওয়ার পর থেকেই নানা গুঞ্জন ভাসছে। কেউ বলছেন, তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন; কেউ বলছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন; কেউ কেউ বলছেন, তিনি আর দেশেই ফিরবেন না! তবে আসল সত্যটা হলো ১৪ এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা। ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি অফিস করবেন। এখন ১৪ এপ্রিল যদি তিনি দেশে না ফেরেন, তাহলে এ সিদ্ধান্তে আসা যাবে, তিনি সত্যি সত্যি আর সিইসি পদে দায়িত্ব পালন করতে চান না। যা-ই সত্যি হোক, তা স্পষ্ট হবে ১৫ এপ্রিল। এর আগে নয়।
সিইসির ওই ব্যক্তিগত সহকারী আরও জানান, তার বড় মেয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। নিউইয়র্কে থাকেন। অনেকদিন ধরেই তার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে ভীষণ ব্যস্ত থাকায় এতদিন তা হয়ে ওঠেনি। জাতীয় নির্বাচনের পর ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মে পর্যন্ত তাকে ব্যস্ত থাকতে হতো। এমন অবস্থায় প্রথম দুই ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে শেষ হওয়ায় তিনি তার মেয়ের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। পরে ৩ মার্চ তিনি সস্ত্রীক নিউইয়র্কে যান।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, ২ মার্চের সফর নিয়ে সিইসি স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ৩ মার্চ থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন। তিনি না ফেরা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।
অফিস আদেশে সিইসি কত দিনের সফরে থাকবেন বা কবে দেশে ফিরবেন, তা উল্লেখ করা ছিল না। অফিস আদেশে এ দুই তথ্যের অনুপস্থিতিই 'সিইসি পদত্যাগ করছেন' বা 'তিনি আর দেশে ফিরছেন না' এমন গুঞ্জনের সৃষ্টি করে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিইসি মধ্য এপ্রিলেই দেশে ফিরবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিইসি সফরে রয়েছেন। তবে এপ্রিলের শুরুতে প্রকল্পবিষয়ক যে প্রোগ্রাম রয়েছে, সেখানে তিনি যোগ দিতে পারেন।