ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পাকিস্তানের ইরান সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশে ১৪ জনকে গুলি করে হত্যার পর হটাৎ তেহরান সফর করছেন ইমরান খান। সফরের দ্বিতীয় দিনে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি এখানে কেন? মি. প্রেসিডেন্ট। কারণ আমার মনে হয়েছিল যে সন্ত্রাসবাদের সমস্যা হচ্ছে …।আমাদের দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য বাড়ছে।এটা দুর করতে সরাসরি আলোচনা প্রয়োজন।
একই দিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, পাকিস্তান ও ইরান সীমান্তে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে যৌথ কার্যক্রম চালু করবে।
রোববার ইমরান খান তেহরানে পৌঁছান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সমস্যা আলোচনায় গুরুত্ব পায়। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গি হামলায় নিহতের বিষয়ে ইসলামাবাদ জঙ্গি দমনে ইরানের সহযোগিতা চায়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সরাসরি প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে রুহানি বলেন, আমরা দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা করতে রাজি আছি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য উভয় দেশের সীমান্তে যৌথ কার্যক্রম জোরদার করব।
এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান ইরানের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি এখানে কেন? মি. প্রেসিডেন্ট। কারণ আমার মনে হয়েছিল যে সন্ত্রাসবাদের সমস্যা হচ্ছে … আমাদের দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য বাড়ছে।
ইমরান খান বলেন, সুতরাং আমার জন্য এখানে আসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং আমাদের প্রধান নিরাপত্তা সমস্যা সমাধান করা।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে চলন্ত বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি শনিবার বলেছেন, ইরানের ভেতর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ইরানকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
এর আগে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ইরানের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় দেশটির অভিজাত বিপ্লবী বাহিনীর ২৭ সদস্য নিহত হয়। এ ঘটনায় ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, হামলাকারীরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী।