ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা এখন বাংলাদেশের মন্ত্রীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট খোঁজে এবং সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা বাংলাদেশের মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চায়।
সোমবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রোববার বিপিও সামিট শুরু হয়। দু’দিনব্যাপী এই সামিট সোমবার রাত ৯টায় শেষ হলো।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই কথাটি একটু গর্ব করেই বলতে পারি, বাংলাদেশকে সম্মান দেয়ার মতো সময় এখন বিশ্ববাসী অনুভব করে। এখন ডিজিটাল বিপ্লবের কথা বলা হচ্ছে। এখন বাংলাদেশের যে জায়গাটি সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হচ্ছে, আমি অন্তত ২০১৮ ও ২০১৯ সালের গল্প করতে পারি।
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন সুইজারল্যান্ডে ছিলাম, আমরা বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী ওখানে ছিলাম। আমার ১৪টা সেশন মডারেট করারই দায়িত্ব ছিল। এইবার বোধহয় দেখেছি, সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা বাংলাদেশের মন্ত্রীদের খুঁজে বেড়ায়।
সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা বাংলাদেশের মন্ত্রীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট খোঁজে এবং সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা আমাদের কাছে পরামর্শ চায়- এটা কেমন করে করা উচিত, ওইটা কেমন করে করা উচিত। ওই কাজটা কেমনে করছ তোমরা? বাংলাদেশের গর্ব করার মতো জায়গা যেটি, হয়তো ডিজিটালি অনেক দেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। কোনো কোনো কাজ হয়তো তারা আমাদের চাইতে বেশি করে ফেলছে।’
তিনি বলেন, এই বিপিও খাতকে একটি শ্রেষ্ঠতম উপায় হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। সাধারণ শিক্ষা, স্কুল কিংবা মাদরাসায় শিক্ষাগ্রহণ করে থাকুক না কেন, বিপিও খাতে ৪৮০ প্রকারের কাজ আছে। কোনো না কোনো কাজের জন্য আমি তাকে যোগ্য করে তুলতে পারব। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য। বেসরকারি খাতও একইভাবে এগিয়ে আসছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল দক্ষতা প্রদান করা। যে দক্ষতার বলে পৃথিবীর জ্ঞান কর্মী হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমার একটা অংশের দায়িত্ব আছে। আমার পক্ষে যেটুকু করা সম্ভব, এটুকু আমি বিশ্বাসের সঙ্গে করব। আমার বোঝার প্রয়োজন নেই। যেখানে মোস্তাফা জব্বার আছেন, জুনাইদ আহমেদ পলকের মতো লোক আছেন, আমার সহকর্মীবৃন্দ।
তারা যখন যে কাজ আমাকে বলবেন, আমার জন্য বোঝার প্রয়োজন নেই। আমাদের মধ্যে সেই সৌহার্দ, সেই ভ্রাতৃত্ব, সেই বন্ধুত্বের বন্ধন আছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা বিশাল কাজ করছি। সেই কাজে প্রান্তিক হলেও আমি যদি অংশ নিতে পারি, নিজেকে ধন্য মনে করব।’