ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং অবৈধ হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। বিদেশি কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এই এনজিওগুলো মিয়ানমারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশে বিএনপি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। তারা নেতিবাচক রাজনীতি ছাড়া অন্যকিছু করতে পারে না।
বুধবার ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এখন আত্না স্বীকৃত দুনীর্তি বাজ, আত্না স্বীকৃত দেউলিয়া, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে রাজনীতির ষড়যন্ত্রে পথ ছাড়া অন্য কোনো ইস্যু নেই উল্লেখ করে বলেন, অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। বিএনপি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নতুন খেলায় দেশ মাতিয়ে রেখেছে। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দেড় বছরে দেড় মিনিট ও আন্দোলন করতে পারেনি। সর্বশেষ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কোনো কোনো এনজিও আবার পাকিস্তানি পন্থিও আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছেন জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি ১০ম জাতীয় নির্বাচনে। ১০ম জাতীয় নির্বাচন আপনি বর্জন করেছেন। শেখ হাসিনা ইতিহাসের অলঙ্ঘনীয় দেয়াল উঁচু করে রাখার পরও গণভবনে আপনাদেরকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গালিগালাজের ভাষা ব্যবহার করেছেন। নির্বাচনে আপনারা আসেননি সেটা কি আমাদের দোষ? এই নির্বাচনে বাংলাদেশে ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের গ্রান্ড কনফারেন্সে হয়েছে। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এসোসিয়েশনেরও বিশাল কনফারেন্সে বাংলাদেশ হয়েছে।
আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর সেখানেও ব্যর্থ। স্কুলের ছেলে-মেয়েদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনেও ভর করা সেখানেও ব্যর্থ। অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যূর ওপর তারা ভর করেছে বিএনপি। এখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানান খেলা খেলছে। বিদেশি কিছু এনজিও ষড়যন্ত্র করছে, মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে পরোক্ষভাবে। আপন অপরাধের শৃঙ্খলে পড়ে গেছেন, আপন অপরাধের শৃঙ্খলে আপনার জড়িত হয়ে গেছেন, আবদ্ধ হয়েছেন। ইতিহাস ক্ষমা করবে না। জনতার আদালত ক্ষমা করবে না। এজন্য এই প্রতিষ্ঠা, খুনি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠা। আজকে দিন যতই যাচ্ছে তারা সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
১৫ আগস্ট আসলে বিএনপি মতলব খারাপ হয়ে যায়। এ মাসে বেপরোয়া চালকের মতো হয়ে পথহারা পথিকের মতো হয়ে যায় বিএনপি। ১৫ আগস্ট ব্ঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে কারা জড়িত হয়েছে তা ইতিহাসে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে জনতার আদালতে প্রমাণিত হবে।
বিএনপির রাজনীতিতে ঘোর অমানিশা চলছে তাই তারা আজ দিশেহারা পথিকের মত যেখানে যা খুশি বলছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকেও অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
১৫আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান এবং একই সূত্র ধরে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলার করে মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া। তিনি হামলার সঙ্গে জড়িত তা মুফতি হান্নানের সাক্ষীতে প্রমাণিত হয়।হামলার আগে হাওয়া ভবন থেকে নিদর্শনায় আসে এবার অপারেশন শুরু কর। আর আপনারা জড়িত না থাকলে এফবিআই ও ইস্কল্যান্ডকে তদন্ত করতে আসতে দিলেন না কোনো।
হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে। ‘১৯৭৫ সালে ব্ঙ্গবন্ধুর হত্যা করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনাকে এতিম করেছে যে বুলেট, সেই বুলেট খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। ব্ঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার না করে হত্যাকারীদের সহযোগীতা করেছেন, বিভিন্ন দূতাবাস চাকরি দিয়েছেন, বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেছেন এই হত্যাকরীদের পূর্ণবাসন করেছেন। যদি তাদের বিচার করতেন তাহলে যে চক্রটি ব্ঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে সে চক্রটি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারতো না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বসচেয়ে নৃশঃসতম রক্তাক্ত ঘটনা ব্ঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। রাজনৈতিক কারণে সহপরিবারে শিশু ও গবর্বতী নারীকেও হত্যা করা হয়। এমনকি কারবালার ময়দানেও কোনো শিশু ও গর্ভবতী নারীকে হত্যা করা হয়নি।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে অর্জন করছে।
ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালিক,(বিএমএ)এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল, মহাসচিব অধ্যাপক ডা.এম আজিজ, ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য গবেষণা ও উন্নয়ন অধ্যাপক ডা. মো শহিদুল্লাহ সিকদার, ডা. সাহানা আখতার রহমান প্রমুখ।