ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মহানবী(সঃ)কে নিয়ে জনৈক অমুসলিম নাগরিকের কটুক্তিপূর্ন বক্তব্যের প্রতিবাদে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সাথে জনতার দফায় দফায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
এতে কমপক্ষে চারজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলপরিমাণ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। নিহতরা হলেন মাহফুজ ও মিজান। আহতদের মধ্যে ১০/১৫ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির মৃতদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে এসেছে বলে জানান আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ড. তৈয়বুর রহমান। এর আগে বোরহাসউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শাহীন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে মহানবী (সা.) ও ইসলামকে কটূক্তি করে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ শনিবার ওই যুবকসহ আরো একজনকে আটক করে। এদিকে কটূক্তির প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় মুসল্লিরা। বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় মুসল্লিরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ শুরু হয় ও এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।