গণজাগরণ মঞ্চ’ ও ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে পৃথকভাবে শাহবাগে জড়ো হয়ে সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া উভয় সংগঠনের ৭ কর্মীকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় জাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তারসহ দু’জন আহত হয়েছেন। তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলের সামনে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে মঞ্চের কর্মীরা অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের’ সভাপতি মেহেদী হাসান এনামের নেতৃত্বে তার কর্মীরা শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আসেন। এ সময় প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি না থাকায় উভয় সংগঠনের কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিটু, সোহাগ, শামস, রাশেদ, জয় নামে গণজাগরণ মঞ্চের পাঁচ কর্মীকে আটক করে। এ সময় বাঁধন নামে অপর এক কর্মীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ ছাড়া আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মেহেদী হাসান এনাম ও কর্মী ইমনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে এখানে দুই পক্ষ সমাবেশ ডেকেছিল। আমরা আগেই বলেছি কেউ সমাবেশ করতে পারবে না। সমাবেশের অনুমতি না থাকায় আমরা তাদের সরিয়ে দিই। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
মেহেদী হাসান এনাম বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে আমরা শাহবাগে প্রতিবাদ জানাতে আসি। পুলিশ আমাদের অন্যায়ভাবে আটক করেছে।’
ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘প্রতিবাদ করার অধিকার সবারই আছে। পুলিশ বাধা দিয়ে প্রতিবাদ থামাতে পারবে না।’
পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের : এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনায় মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারকে প্রধান আসামি করে শাহবাগ থানায় গতকাল দুপুরে মামলা করা হয়েছে। মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান এ মামলা করেছেন। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গণজাগরণ মঞ্চের নরেন্দ্র সাহা জয় মেহেদী হাসান এনামকে আসামি করে অপর একটি মামলা করেছেন। মামলায় আগের মামলার বাদী মেহেদী হাসান এনাম, আরিফ, শিশির, শেখ আসলামসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে মঞ্চের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আর এ জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দায়ী করেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।