আজ কানাডার অন্যতম গুরূত্বপূর্ন প্রদেশ কুইবেকের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন।আপাতঃ দৃষ্টিতে এটা একটা সাধারন নির্বাচন হলেও কানাডার জন্য এটা অতীব গুরূত্বপূর্ন একটি বিষয়।কারন বর্তমানে ক্ষমতাসীন সংখ্যালঘু কট্টর কুইবেক জাতীয়তাবাদী 'পার্টি কুইবেকওয়া' দল বরাবরই কুইবেকের স্বাধীনতার পক্ষে।শোনা যায় এবারের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করলে তারা অচিরেই কানাডা হতে কুইবেকের স্বাধীনতার প্রশ্নে গনভোটের আয়োজন করবে।এই বিষয়টি নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছে কুইবেক তথা সমগ্র কানাডাবাসী।উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ১৯৮০ এবং ১৯৯৫ সালে পার্টি কুইবেকওয়ার শাসনামলে দুবার এই বিষয়ে গনভোট অনুষ্ঠিত হয়,কিন্তু দুবারই অত্যন্ত কম ব্যবধানে স্বাধীনতা কামীদের প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায় এবং অপার সম্ভাবনার দেশ কানাডা অখন্ড থেকে যায়।এই স্বাধীনতার ডামাডোলে গত ২৫ বছরে কুইবেক সমাজে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক গুনগত পরিবর্তন এসেছে যা কুইবেক ও কানাডার জন্য মোটেও ভালো ফল বয়ে আনেনি।কুইবেক কানাডার একমাত্র ফরাসী ভাষাভাষী অধ্যুষিত প্রদেশ হলেও সমগ্র কানাডার দুইটি সরকারী ভাষা হচ্ছে ইংরেজী এবং ফরাসী।কুইবেক প্রবাসী বাংলাদেশী তথা এশিয়ান কমিউনিটি বরাবরই কানাডায় একিভূত কুইবেকে থাকতে পছন্দ করে।আজকের নির্বাচনে 'পার্টি কুইবেকওয়া'র প্রধান প্রতিদন্দী দল হলো কুইবেক লিবারেল পার্টি যা কিনা বরাবরই কানাডার অখন্ডতায় বিশ্বাসী।উভয় দলই তাদের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ বক্ত করেছে ।যাই হোক সমগ্র কানাডার দৃষ্টি আজ মনোনিবেশিত থাকবে কুইবেক নির্বাচনের উপর।