ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। এ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সুতরাং এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নতুন নির্বাচন দিতে হবে। তাই আমরা নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০, দুপুরে গুলশানের ইমান্যুয়েল ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে এবং অত্যন্ত সচেতনভাবে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করার চেষ্টা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে নতুনরূপে বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গেল ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনরায় প্রতিফলন ঘটেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আর একটি কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন এদেশে হতে পারে না। তাই আমরা বারবার দাবি করছি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই কেবলমাত্র সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে।’
দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কখনোই সম্ভব না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুই সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।