ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধমেই দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন ফিরে আসবে। এ সরকার একটি অগণতান্ত্রিক সরকার। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে গণতান্ত্রিক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখতেই কারাবন্দি করে রেখেছে ফ্যাসিষ্ট, অগণতান্ত্রিক সরকার। এই সরকার এক দলীয়ভাবে দেশ শাসন করছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাহাদাত বলেন, এ ফ্যাসিষ্ট সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। দেশের সাধারণ জনগণ পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহীনির ভয়ে ভোট দিতে ভোট সেন্টারে যেতে পারে না। আর যে কয়েকজন ভোট দিতে সেন্টারে যায় তাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে বলে তাড়িয়ে দেয়। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থা। সরকার দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ধ্বংস করে ফেলেছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, মানবিকতা নেই, আছে স্বৈরাতন্ত্র, নির্যাতন, নিপীড়ন, দূর্নীতি ও দুঃশাসন।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, মহান স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, ৭৫ বছর বয়স্ক একজন মহিলা হওয়ার পরও সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে মুক্তি না দিয়ে বন্দি করে রেখেছে। খুনের অপরাধে অপরাধি জামিন হয় কিন্ত খালেদ জিয়ার জামিন হয় না। দীর্ঘ দুই বছর যাবত অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। বেগম খালাদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এম. এ. নাজিম উদ্দিন বলেন, এ সরকার চায় না বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হোক। তারা খালাদা জিয়াকে কারান্তরিন রেখে আজীবন ক্ষমতা থাকার দিবাস্বপ্ন দেখছে। ইতিহাস বলে কোন ফ্যাসিষ্ট সরকার বেশীদিন ঠিকে থাকতে পারে নাই, এ সরকারও পারবে না।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে কারান্তরিন রেখে জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। যতদিন গণতন্ত্রের মা জেলে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকারসহ দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে না। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী বেগম নুরি আরা ছাফা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, সফিকুর রহমান স্বপন, এস এম আবু ফয়েজ, জাহেদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, মনজুর আলম মনজু, শাহেদ বক্স, সহসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), মো. সালাহ উদ্দিন, শাহ আলম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ মোহাম্মদ আলী মিঠু, হামিদ হোসেন, ফাতেমা বাদশা, হাজী নুরুল আকতর, ডা. সরওয়ার আলম, নরুজ্জামান, এড. পারভীন চৌধুরী, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আলমগীর নূর মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ চৌধুরী, মো. শাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, নূর হোসেন হাবিবুর রহমান, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, মো. ইলিয়াছ, জেসমিনা খানম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, আইয়ুব খান, শাহেদা বেগম, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, এডভোকেট আবদুল আজিজ, মনিরুজ্জামান মুরাদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান প্রমুখ।