দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ, তাকে অনতিবিলম্বে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত’- এমন একটা কথা গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গন মাধ্যমে বেশ শোনা যাচ্ছে।
পাশাপাশি এই প্যারোল নিয়ে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের বিনা ভোটের মন্ত্রীরা বলছেন, খালেদা জিয়া কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে সরকার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।
এমন কথা রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, এর আগে তথ্যমন্ত্রীও বলেছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্যারোল পাওয়ার সঙ্গে ক্ষমা চাওয়ার সম্পর্কটি কোথায়?
আইন অনুযায়ী যে কেউ, এমনকি ফাঁসির আসামীও প্যারোল পেতে পারে। জেলে থাকা আসামী যদি সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে, যেমন কোন নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা অসুস্থতা, আবেদন করে, সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারে।
এই মুক্তি কিন্তু একেবারে ছেড়ে দেওয়া নয়, পুলিশ হেফাজতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জেলের বাইরে যেতে দেওয়া মাত্র।
আবার বিপরীত দিকে,হাসিনার মন্ত্রীরা যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছেন, তারও তো কোন আইনগত ভিত্তি নেই।
সরকার কি সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামীকে ক্ষমা করার অধিকার রাখে?
চুড়ান্ত রায়ের পর ক্ষমার এখতিয়ার আছে একমাত্র রাষ্ট্রপতির, কিন্তু রাষ্ট্রপতি তো সরকারের অংশ নন। তাছাড়া, খালেদা জিয়ার মামলা এখনো চলমান, চুড়ান্ত রায়ও হয়নি।
অবেৈধ সরকারের মন্ত্রীরা কি আইনের বিষয়গুলো জানেন না? অথবা তাদের বক্তব্য কি কেবলই রাজনৈতিক? হতেও পারে। কিন্তু রাজনৈতিক হলেই কি সেখানে আইন বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়া যায়?