ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির হরিলুটে নিমজ্জিত বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালিয়ে জনসাধারনের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সারোয়ার আলম।
যোগদানের পর থেকেই খাদ্য, ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের গুণগত মান, ভেজাল দ্রব্য, হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অতিরিক্ত ফি নেওয়াসহ সবখানেই তার অভিযান।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে একজন সত্যিকারের পেশাদার অফিসার হিসেবে মন্তব্য করেছেন একজন সাংবাদিক।
অভিযান পরিচালনার সময় দোষীদের পক্ষে সুপারিশ আসতে পারে ভেবে স্ত্রীর ফোনও রিসিভ করেন না বলে জানান তিনি।
সারোয়ার আলমের অভিযান প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন সারাবাংলা ডটনেটের স্টাফ রিপোর্টার সাদ্দাম হুসেইন।
তিনি লিখেছেন,
'‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাতিরপুলে ক্ষমতাশীন একজন নেতার নকল ওষুধের গোডাউনে অভিযানে চালিয়ে ৫ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ করার সময় আমরা কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে ছিলাম। সে সময় কোনো এক কথার প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার ভাই আমাদের বলছিলেন, ‘‘অভিযান চলাকালে আমি আমার আত্মীয় স্বজনতো দূরের কথা, নিজের স্ত্রীর ফোনও ধরি না। কারণ, দেখা যাবে অপরাধীদের কেউ না কেউ আমার আত্মীয়ও হতে পারে। তারা হয়তো আমার স্ত্রীকে দিয়েও আমার কাছে সুপারিশ পাঠাবে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেটা তো আমি করতে পারব না।’’
ওই সাংবাদিক আরও লেখেন, ‘কথাটি কিন্তু কথার কথা কিংবা নিজেকে সাংবাদিকদের সামনে ভালো সাজাতে বলেননি তিনি। কারণ কতটা সৎ সাহস নিয়ে দেশের প্রতি টান থাকলে এ কথা তিনি বলতে পারেন তার বহু উদাহরণ আমাদের জানা।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে সারোয়ার আলমসহ তিন ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) বাতিল করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়েছে।