DMCA.com Protection Status
title="৭

দেশে কারো ঘরে খাবার নেই, এমন রিপোর্ট এখনও পাইনিঃ ডা.এনামুর রহমান

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন হয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দরিদ্র এবং শ্রমজীবী মানুষ। তবে সাময়িক এই সংকটে তারা কেউ না খেয়ে নেই বলে জানিয়েছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি জানান, দেশব্যাপী হতদরিদ্র এমনকি মধ্যবিত্তদের ঘরেও খাবার ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। আগামী তিন মাস পর্যন্ত এভাবে খাদ্যসহায়তা দেয়ার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ছুটি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছয়দিন খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’

একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল এবং ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্যের জন্য তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে নিম্নআয়, কর্মহীন এমনকি মধ্যবিত্তদের মাঝেও তা বিতরণ করা হচ্ছে।’

ডা. এনাম বলেন, দেশে খাদ্যসংকট যে আসতে পারে ছুটি ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি বিবেচনা করেছিলেন। করণীয় নির্ধারণে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, দেশের যেসব মানুষ দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল তারা কর্মহীন হয়ে যাবে। তাই তাদের খাদ্য এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিশ্চয়তা দিতে হবে। একজন মানুষও যেন না খেয়ে থাকে না- তার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারেই সবকিছু চলছে।

এদিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের এক জরিপ বলছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকার পরামর্শ মানতে গিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশ। ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই।

ব্র্যাকের জরিপের এ তথ্য সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ড. এনাম। তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সবসময় খোঁজ-খবর নিচ্ছি বরাদ্দের কত অংশ কোথায় কীভাবে বণ্টন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও এমন কোনো রিপোর্ট পাইনি যে, কারো ঘরে খাদ্য নেই।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!