গত ৩ এপ্রিল শাহবাগে গণজাগরন মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু। গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে এতদিন একাত্ম হয়ে যেসব সংগঠন আন্দোলন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী তাদের অন্যতম।
আন্দোলনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার অভিলাস থেকে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দোষারোপ করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি, ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এ সংগঠনগুলোর এতদিন গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে।
বাপ্পাদিত্য বলেন, ‘সেদিন শাহবাগে হাতাহাতির ঘটনার সময় আমরা মধুর ক্যান্টিনে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন মিটিং করছিলাম। এমন সময় আমরা সংঘর্ষের খবর পায়। সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে এবং মারামারি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম শুনে বুঝতে পারি নিজেদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কেউ জড়িত নন। এমনকি কোনও ভিকটিমও প্রথমবার কোনো ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কারও নাম বলেননি।’
‘সেখানে মারামারি করেছে জয়, শিশির, আবির। এরা সবাই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী। কেউ ছাত্রলীগ বা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়,’ বলেন বাপ্পাদিত্য।
সংঘর্ষের কোনো ভিডিও ফুটেজেও ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দেখা যায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
নিজেদের মধ্যে এ ধরনের সংঘর্ষ কেন হলো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাপ্পাদিত্য বলেন, ‘এ ধরনের হাতাহাতি মূলত মুখপাত্রের প্রশ্রয়েই হয়েছে। ইমরান এইচ সরকার তার যে কর্মী বাহিনী নিয়ে ঘোরেন সেগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে তিনি বেয়াদব বানিয়েছেন। এখন তার সঙ্গেও বেয়াদবির করার সাহস পায় তারা।’
ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চে এখনও প্রায় ২০৫টি সামাজিক রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন রয়েছে। আমরা ইমরান এইচ সরকারের সঙ্গে দুটি বৈঠক করেছি। কিন্তু তিনি উদ্ভূত পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে নিজে কোনো উদ্যোগ নেননি, আমরা নিতে চাইলেও তিনি আমাদের সাহায্য করেননি’
‘এ সিদ্ধান্ত তাদের একার নয়। তবে ইমরান এইচ সরকার যদি তাদের ডাকে সারা না দেয় বাকি সংগঠনগুলোকে এক সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় অচিরেই মুখপাত্রের পদ থেকে ইমরানকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এছাড়াও গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষে ‘অসন্তোষ’ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তার জন্য ইমরান এইচ সরকারের ‘একতরফা অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত’কে দায়ী করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।