ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ সরকারের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জনসমক্ষে, গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১৫ এপ্রিল নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সিদ্দিকা আক্তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জনসমক্ষে, সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা, বিবৃতি বা মতামত প্রদান না করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
নার্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত একজন সিনিয়র নার্স বলেন, সম্প্রতি কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের একজন নার্স হাসপাতালের কর্মীদের খাদ্যসংকট নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তাঁর ওই পোস্ট ও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। নার্স নেতারা এ নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর চিঠি ইস্যু করে।
সূত্রমতে, এই চিঠির উদ্দেশ্য করোনা ভাইরাস জনিত হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এবং হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কোনো চিত্র যেন নার্সদের মাধ্যমে বাইরে প্রকাশ না পায়।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার বলেন, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাইলেই গণমাধ্যমে আলোচনা, বিবৃতি ও মতামত দিতে পারেন না। চিঠি দিয়ে এটুকুই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে এ চিঠি জারি হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।