বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘অর্বাচীন’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, এদের মতো অর্বাচীনরা এসব বলতে পারে।
তিনি আরও বলেন,এ বিষয়ে ঘৃণা প্রকাশ করা ছাড়া আমাদের কিছুই বলার নেই। অন্যদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তারেক রহমানের মস্তিষ্ক পরীক্ষার পরমর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেছেন, ’৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে যেমন তার কন্যা শেখ হাসিনাও জোর করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়ায় সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হলেও ’৭২-সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরার পর ১২ জানুয়ারি তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন।’
এরপর গতকাল বুধবার ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুজিবনগর সরকার দিবস উদ্যাপন প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নাসিম এ মন্তব্য করেন। এদিকে তারেক রহমানের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর তারেক রহমানের এ ধরনের কথা শোনার পরে আর কিছু বলার নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের কথা বললে আমাদের হূদয়ে আঘাত লাগে।
আমাদের সবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি মিথ্যাচারের মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে। রাজনীতিতে বিএনপির প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মিথ্যাচার। রাজনীতির মাঠে আমরা তাদেরকে পরাজিত করেছি। এখন তারা হতাশ হয়ে প্রলাপ বকছে। ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে।
যার হাত ধরে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, হাজার বছরের সেই শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তারা ইতিহাস বিকৃতি করছে।
জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বিএনপির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ছবিতে স্পষ্ট প্রমাণ আছে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জিয়াউর রহমান তাকে স্যালুট দিচ্ছেন। একজন রাষ্ট্রপতি তাহলে কীভাবে গার্ডের দায়িত্ব নেন? এটি হাস্যকর।