ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশক ও সম্পাদক বর্ষিয়ান সাংবাদিক আবুল আসাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
আজ বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার আবুল আসাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জামিন আবেদন করেন। ভার্চুয়াল কোর্টে এটিই ছিল প্রথম জামিন আবেদন।
আবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর মাস থেকে কারাগারে আটক আছেন আবুল আসাদ। তিনি ৮০ বছর বয়স্ক একজন প্রবীণ নাগরিক। তিনি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
এছাড়া তিনি ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্রমান্বয়ে হারিয়ে ফেলছেন। চিকিৎসকরা তাকে অতিসত্বর ডান চোখে ক্যাটারেক্ট সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন। শ্বাসকষ্টের রোগী হওয়াতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।
এ অবস্থায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে জামিন লাভের সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে এপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টসহ বাংলাদেশের সব আদালত এবং আদালতের দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আবেদনে আবুল আসাদের শারীরিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে তার জামিন আবেদন শুনানির উদ্যোগ নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন ১৩ ডিসেম্বর পত্রিকাটির কার্যালয় ভাঙচুর করে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একদল নেতাকর্মী।
মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সেক্রেটারি আল মামুনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিকাল ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ভাঙচুর চালায়। তারা কার্যালয়ে ঢুকে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।
ওইদিন রাতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদকসহ সাত-আটজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।