ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী আব্দুল হালিম খলিফা ওরফে বাবুল(৫৫) মারা গেছেন। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, এই সাক্ষীর বয়স ১৯৭১ সালে ছিলো মাত্র ৬ বছর। এতো অল্প বয়সী কারও সাক্ষ্য আদালতে কিভাবে গ্রহনযোগ্য হয় সেটা নিয়ে জনমনে বিরাট প্রশ্ন রয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার বৌডুবি গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
বাবুলের ভাই সালাম বাহাদুর জানান, গত কয়েক দিন আগে বাবুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন তার মস্তিকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সে অবস্থায় হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে রেখে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। তাকে আসামিদের কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য তার সঙ্গে নিয়মিত পুলিশ ফোর্স থাকত। তাই তাকে সাধারণ সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি পুলিশি নিরাপত্তার কারণে তাকে প্রাইভেট হাসপাতালেও ভর্তি করাতে পারেনি। গত বুধবার তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
সালাম বাহাদুরের অভিযোগ, বাবুলের সুচিকিৎসার জন্য জরুরি সেবা পেতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলে তিনি যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাননি।
‘সুচিকিৎসার অভাবে আমার ভাই আব্দুল হালিম বাবুল মারা গিয়েছেন। আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। পুলিশ পাহাড়ার কারণে তার সাধারণ জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে। এমনকি এই নিরাপত্তার কারণে তার উন্নত কোনো চিকিৎসাও করাতে পারি নাই’, বলেন সালাম বাহাদুর।