খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, সব মিথ্যাচারের উত্স খুঁজে বের করতে হবে এবং তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, মিথ্যা প্রচারে যারা সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটা করা না হলে মিথ্যাকেই একসময় সত্য বলে ভ্রম হবে।
তিনি গতকাল সকালে রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিআইপি সেমিনার মিলনায়তনে এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের (এজাহিকাফ) উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার আলোকে আমাদের চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা চলতেই থাকবে।
বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে মন্তব্য করেন তার প্রেক্ষিতে তিনি একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিয়া মো. আবদুল কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অরুন সরকার রানা, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভাসানী প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিয়া মো. আবদুল কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অরুন সরকার রানা, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভাসানী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশের সব ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি মহল তারেক রহমানকে দিয়ে বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি না করলেও শাহ আজিজ প্রথমে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি অনুপ্রবেশকারী ছিলেন।
’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মূল নায়কই ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় খন্দকার মোস্তাক এবং জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে তারাও বিচারের মুখোমুখি হতেন। তারা বেঁচে না থাকায় তাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র প্রেস ক্রিপশনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে বিএনপি নামে একটি ‘ককটেল’ পার্টি গঠন করেছিলেন।